20.6 C
New York
রবিবার, আগস্ট ১০, ২০২৫

Buy now

spot_img

পাইরেসিকে না বলুন, সিনেমা বাঁচান

শাকিব খান।। খেয়াল করে দেখবেন,আপনার আসেপাশে কিছু মানুষ থাকবে তারা আপনার প্রতি তাদের কেয়ার বুঝানোর জন্য তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ভালো মন্দ নানান জিনিস উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরবে।যে এটা করবা, এটা করলে এটা ভালো হবে। এটা করবা না, এটা করলে এটা মন্দ হবে।

সেরকম আমার এক পরিচিত মানুষ (মায়ের সমতুল্য) আমাকে নানান রকম বুদ্ধি পরামর্শ দিতো আর কি! আমার বাচ্চা নিয়ে দিতো। আমার ছেলে তখন একদমই ছোট। দুই/ তিন মাসের হবে।

আমি তো তখন প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।এখন অব্দি যাচ্ছি …..

উনি সেসময়ে আমাকে নানান কিছু শিখাতো। নতুন মায়েদের অবশ্য সবাই ই শিখাতে আসে। কিছু আসলে জানুক আর না জানুক।

যাইহোক , উনি আমাকে বুঝাতেন- বাচ্চাকে ডিমের কুসুম দিতে ৩ মাস পর থেকেই  (যেটা একদমই ঠিক নয়) শিখাতেন- বাচ্চা বসা শিখলেই আমি যেন বাচ্চাকে ওয়াকার দিয়ে দেই! তাহলে নাকি বাচ্চা দ্রুত হাঁটতে শিখবে! আমি দেই নি বলে উনি নিজেই একদিন কিনে নিয়ে এলেন। (যেটা এখন সাইন্টিফিক‍্যালি একদম ব্যান করে দেওয়া হয়েছে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে এতে বাচ্চাদের মেরুদণ্ডের ক্ষতি করে। পঙ্গুত্ব পর্যন্ত হতে পারে!) তবে এরকম অনেক ভুলভাল পরামর্শের মধ্যে কিছু ভালো জিনিস ও উনি আমাকে শিখিয়েছেন। যেমন বাচ্চাকে প্রপার ওয়ে তে ব্রেষ্ট ফিড করানো, তেল মালিশ করা, বাচ্চার গ্যাস ফাইন্ডআউট করা। আমি অবশ্যই তার জন্য কৃতজ্ঞ।

কিন্তু আজকের এই লেখাটার কারণ হচ্ছে অন্য একজন মায়ের জন্য। তার একটা ভিডিও আমি দেখলাম তার তিন বছরের বাচ্চাকে নিয়ে শপিংমল এ শপিং করার ফুটেজে ভয়েস ওভারে গুড প্যারেন্টিং নিয়ে কথা বলতে! কথা বলা তো নয় বলা যায় এক রকম জ্ঞান দিচ্ছিলো আর কি।

আমি খেয়াল করলাম,, এই কথাগুলো আমার পরিচিত!

কথাগুলো এমন-“ বাবা মায়ের সাধ্য থাকলেও তাদের উচিত না বাচ্চাকে সব কিনে দেয়া। ঈদের শপিং এ তার ৩ বছরের বাচ্চাকে অপশন দিয়েছেন হয় জামা নিতে পারবে না হয় খেলনা।)

এই কথাগুলো আমাকেও বলা হয়েছিলো। ওই যে যিনি আমাকে গুড প‍্যারেটিং নিয়ে উপদেশ দিতেন। উনি আমাকে এটাও বলেছিলেন, যে তার বাচ্চারা ছোটবেলায় বাইরে গেলে চিপস কিনতে চাইলেও নাকি তাদের তখন কিনে দেয়া হতো না। পরের দিন দিত। এতে নাকি বাচ্চার তার বাবা মায়ের সমর্থের উপর আস্থা আসে। বাচ্চা নাকি এতে অভাব বুঝতে শেখে।

যাইহোক তারা তাই ই শিখছে। মানে ওই অভাব আর কি।

সরি ভাই! আমার মোটেও এই ধরনের প্যারেন্টিং বোধগম্যে হইল না।

এই যে একটা বিষয়, ছোট্ট একটা বাচ্চা ২/৩ বছরের ওরে তুমি অভাব শিখাও! কেমনে!!? তুমি তো ওরে মনুষত্ব শিখাবা। তবেই ও অভাব না শিখে অভাববোধ শিখবে। বাবা মায়ের সাধ্য সমর্থ্যের সঠিক মূল্যায়ন করতে শিখবে। না হলে বড় হয়ে তোমার মতোই ধোকাবাজি শিখবে।

ভাই আমি বুঝিনা কোনও টোকাই ও চায় তার বাচ্চাকে অন্তত ঈদের সময় দুনিয়াটা কিনে দিতে।

আর আপনার সাধ্য আছে নিউ মার্কেট থেকে কেনাকাটার তাহলে আপনি নিশ্চিই বাচ্চাকে নিয়ে দুবাই চলে যাবেন না তাই না।

এতে আপনার বাচ্চার কোমল মন ছোট অনুভব করে।

অভাববোধ শিখাতে গিয়ে আপনি তাকে কৃপণ‍্যতা শিখাচ্ছেন।

হ্যাঁ, আমি আমার ছেলেকে একদম ছোট থেকেই খেলনার দোকানে ছেড়ে দেই। আর বলি, “আমার বাজান তোমার যা কিছু ভালো লাগে তুমি নিতে পারো।” ফলে আমি ওর খুশি হওয়া দেখি। আমি দেখি কত লোভনীয় হার্মফুল টয় (পিস্তল, বন্দুক ইত্যাদি) ও ধরে না।

ব্যাস,এতটুকুই শিক্ষা এই বয়সের জন্য যথেষ্ট।

এক বস্তা খেলনা কিনে যখন সবাইকে ভাগ করে দেয়!

ব্যাস, এতটুকু মন উদার হওয়াটাই ওর এই বয়সের জন্য যথেষ্ট।

আমি জানি প্রত্যেক মায়ের বা বাচ্চাদের বড় হওয়ার জার্নি এক রকম নয়। শুধু এই টুকু বলার, আপনার সোশ্যাল কোনো কম্পিটিশনের মধ্যে বাচ্চদের নিয়ে মাইতেন না প্লিজ।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
22,500SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles