বাংলাদেশের নন্দিত সংগীতশিল্পী ও সুরকার ফাহমিদা নবী। আধুনিক গান, নজরুলসংগীত, দেশাত্মবোধক গান- সবক্ষেত্রেই তিনি নিজের ছাপ রেখেছেন। দীর্ঘ সংগীতযাত্রায় তার কণ্ঠে যেমন মাধুর্য, তেমনি আছে জীবনবোধের ছোঁয়া। গুণী এই সংগীতশিল্পীর সাথে ইত্তেফাক ডিজিটালের বিশেষ আলাপচারিতায় উঠে এসেছে শিল্পীর ছোটবেলা ও সংগীত-জীবনের নানা প্রসঙ্গ।
সংগীতের এত দীর্ঘ পথচলা- এই জার্নিটা আপনার কাছে কেমন?
এটা আমার জীবনের মূল রাস্তাই বলতে পারেন। গান শুধু পেশা নয়, এটা সাধনা। আমি গান গাই শুধু ক্যারিয়ারের জন্য নয়, আত্মার শান্তির জন্য। গান ছাড়া আমার জীবন অপূর্ণ। ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছে সংগীত শিখেছি। বাবা (মাহমুদুন্নবী) আমাদের অনুপ্রেরণা।
কেমন ছিল ছোটবেলার সংগীতের দিনগুলো?
বাড়িতে গান ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। বাবা-ভাই-বোন সবাই গাইতো। তখন বুঝিনি, সংগীত আমাকে এই জায়গায় নিয়ে আসবে। শুধু গাইতে ভালো লাগতো। সেই ভালো লাগাটাই পেশা হয়ে গেছে।
আপনার গানে বরাবরই দেখা যায় অনুভূতির ছাপ। সেটা কীভাবে ধরে রাখেন?
আমি মনে করি, গান শুধু গলার খেলা নয়, মনেরও খেলা। গানের কথা যদি অনুভব করতে না পারেন, তবে শ্রোতার মনে পৌঁছাবে না। আমি যখন গাই, সেই কথার ভেতর ডুবে যাই। তাই আমার গান জীবনের কথা বলে।
প্লেব্যাক, স্টেজ শো, উপস্থাপনা- সবক্ষেত্রেই আপনি সমান পারদর্শী। কোনটা বেশি আপন মনে হয়?
(হেসে) গানই আমার প্রথম পরিচয়। তবে উপস্থাপনাও ভালো লাগে। কারণ সেটার মাধ্যমে শ্রোতা-দর্শকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যায়।
নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে কী বলবেন?
নতুনদের নিয়ে আমি আশাবাদী। তবে তাদের বলি- প্রশিক্ষণ ছাড়া পেশাদার সংগীতশিল্পী হওয়া কঠিন। শুধু স্টারডমের জন্য গান করলে হবে না। সবার আগে ভালো মানুষ হতে হবে, তারপর শিল্পী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি নিয়মিত লেখেন। সেটা কীভাবে শুরু হলো?
এটা আমার নিজের জন্য। গান যেমন আত্মার খোরাক, তেমনি লেখালেখিও। অনুভূতি লিখে ফেললে হালকা লাগি। কিছু কিছু স্ট্যাটাস তো কবিতার মতো হয়ে যায়।
শ্রোতা-ভক্তদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন-
সবাইকে ভালোবাসা। আপনাদের ভালোবাসাই আমাকে আজও টিকিয়ে রেখেছে। গান শুনুন, শুদ্ধ সংস্কৃতি ভালোবাসুন। জীবন ছোট- হাসুন, গান শুনুন, ভালো থাকুন।
সৌজন্য : দৈনিক ইত্তেফাক